অ্যাজমা বা হাঁপানি মূলত শ্বাসনালির প্রদাহজনিত একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ। এই প্রদাহের ফলস্বরূপ শ্বাসনালি ফুলে যায় এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে হাঁপানির বিভিন্ন উপসর্গ (যেমন— শ্বাস-কষ্ট, কাশি, বুকের মধ্যে শোঁ শোঁ শব্দ, বুকে চাপ অনুভূত হওয়া ইত্যাদি) দেখা যায়। সঠিক সময়ে ও নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহনের মাধ্যমে এ উপসর্গগুলো সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
হাঁপানি কেন হয়? এবং হাঁপানি রোগের লক্ষণসমূহ
হাঁপানি রোগের কারণ এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি এবং এ রোগের জন্য কোনো নির্দিষ্ট কারণকেও এককভাবে দায়ী করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত বা পরিবেশগত কারণে এ রোগ হতে পারে। কারও নিকটাত্মীয় যদি এ রোগে আক্রান্ত থাকে অথবা কারও যদি বিভিন্ন দ্রব্যের প্রতি অতিমাত্রায় অ্যালার্জি থাকে, তাহলে তার এ রোগ হতে পারে। এ ছাড়াও শ্বাসনালি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হলে এ রোগ হতে পারে।
অ্যাজমা বা হাঁপানি হওয়ার কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই। এটি ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগও নয়। প্রদাহের ফলে শ্বাসনালির সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, ফলস্বরূপ ঘন ঘন কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা হওয়া, শোঁ শোঁ আওয়াজ, বুকে চাপ অনুভূত হওয়া বা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সঠিকভাবে ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না নিলে অনেক সময় এ রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ধুলোবালির মধ্যে থাকা মাইট নামক একধরনের ক্ষুদ্র কীট, ফুলের পরাগরেণু, পাখির পালক, ছত্রাক, ইস্ট এবং সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে থাকেন তাদের এ রোগ হতে পারে। ধূমপান শুধু শ্বাসকষ্টের অন্যতম কারণই নয়, বহুক্ষেত্রে এটা হাঁপানির তীব্রতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়, হাঁপানির ঔষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ধূমপান ফুসফুসের কার্যক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ীভাবে কমিয়ে দেয়।
পেশাগত কারণেও কখনো কখনো এ রোগটি হতে পারে। কিছু উত্তেজক উপাদান (যেমন- শ্বাসনালির সংক্রমণ, অ্যালার্জি জাতীয় কোন বস্তুর সংস্পর্শ, ধুলা, বায়ুদূষণ, সিগারেটের ধোঁয়া ইত্যাদি) অনেক সময় অতি সংবেদনশীল রোগীর শ্বাসকষ্টের কারন হতে পারে।
কিছু ওষুধ, যেমন বিটা ব্লকার (উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য এ ওষুধটি ব্যাবহার করা হয়), এন এস এ আই ডি (ব্যথা নিরাময়ের জন্য ব্যাবহার করা হয়), এসপিরিন ইত্যাদি ওষুধের কারনেও হাঁপানি হতে পারে।
মানসিক চাপও অনেক ক্ষেত্রে হাঁপানির তীব্রতা বাড়াতে পারে।
কারও কারও গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ, হাঁসের ডিম, পুঁইশাক, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া, ইত্যাদি খাবারের প্রতি সংবেদনশীলতা আছে, খেলে চুলকায় অথবা নাক দিয়ে পানি পড়ে। তবে সাধারনভাবে খাবারের মাধ্যমে যে অ্যালার্জি হয় তাতে খুব কম সংখ্যক মানুষেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কারও কারও আবার নানান রকম সুগন্ধি, মশার কয়েল বা কীটনাশকের গন্ধের কারনেও শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেতে পারে।
রোগ নির্ণয়
অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হলো শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া, বুকে চাপ অনুভূত হওয়া এবং অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া। হাঁপানি বা অ্যাজমা নির্ণয়ের প্রথম ধাপে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রোগীর মুখে রোগের বিস্তারিত ইতিহাস জেনে সিদ্ধান্ত নেবেন। সাধারণত এ উপসর্গগুলো রাতে বা সকাল সকাল বেশি অনুভূত হয় এবং শ্বাসনালীতে কোনো ধরনের অ্যালজেন প্রবাহ প্রবেশ করার ফলে অথবা অল্প-মাত্রায় পরিবর্তনের কারনে এ লক্ষণসমূহের তীব্রতা অনেক বেড়ে যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা কাশি শুরুর আগে নাক চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, হাঁচি হয়, চোখ লাল হয়ে যায়। ওপরের উপসর্গসমূহের সঙ্গে বংশে কারও হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকলে ধরে নেওয়া হয় যে তারও হাঁপানি রয়েছে।
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে বা প্রতিরোধে রোগীর ভূমিকা
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রোগীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। রোগীকে অ্যাজমা বা হাঁপানি সম্পর্কে, রোগের প্রকৃতি, চিকিৎসা, ইনহেলারের কাজ, ইনহেলার কখন ও কিভাবে ব্যবহার করবেন এই বিষয়ে ভালভাবে জানতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রোগীকে সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যবহার করতে জানতে হবে।
কি ধরনের চিকিৎসা তার প্রয়োজন, তার হাঁপানির উপসর্গ কখন বৃদ্ধি পায়, কখন ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে, রোগটি তার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে না বাইরে চলে যাচ্ছে এবং কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সেই বিষয়ে রোগীর বিস্তারিত ধারনা থাকতে হবে।
হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ, তাই স্বাভাবিকভাবেই এ রোগের ওষুধও অনেক দিন ধরে ব্যবহার করতে হয়। হঠাৎ উপসর্গ কমে গেলে বা না থাকলেও কখনোই হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করা উচিত নয়। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, অ্যাজমার চিকিৎসা প্রায় সব সময়েই দীর্ঘমেয়াদি হয়। অবশ্য এ কথার মানে এই নয় যে একজন হাঁপানি রোগীকে জীবনভর ওষুধ নিতে হবে। একজন অ্যাজমা রোগী নিয়মিত হাঁপানি প্রতিরোধক ওষুধ ব্যবহার করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিন থেকে পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এ রোগ সম্পূর্ণভাবে রোগীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
উপসর্গের তীব্রতা ও সময়ের সাথে সাথে ওষুধের মাত্রাও সাধারণত কমতে থাকে অর্থাৎ রোগের উপসর্গ কমার সাথে সাথে ধীরে ধীরে ওষুধের পরিমাণও কমিয়ে আনতে হয়। কখনোই হঠাৎ করে কমিয়ে ফেলা উচিত নয়।
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রোগীর ভূমিকা সবসময়েই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগীকে কিছু কিছু বিষয় সম্পর্কে খুব ভালভাবে জানতে হবে। যেমন- কখন ওষুধের পরিমাণ বাড়াতে হবে, কী কী উপসর্গ দেখলে রোগী চিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন ইত্যাদি। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের জন্য রোগীকে অবশ্যই ওষুধ দেওয়ার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। অর্থাৎ, সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যাবহারের পদ্ধতি, সঠিকভাবে নেবুলাইজার ব্যবহার এবং সাথে সাথে এ যন্ত্রগুলো কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কেও ভাল ধারনা থাকতে হবে।
নিয়মিতভাবে সঠিক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি হাঁপানির উত্তেজক দ্রব্য থেকেও নিজেকে রক্ষার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রত্যেক রোগীর উত্তেজক দ্রব্য অথবা অ্যালার্জি ভিন্ন হবে সেটাই স্বাভাবিক। সেজন্য রোগীকে তার জন্য নির্দিষ্ট কোনো উত্তেজক আছে কি না সে বিষয়ে জানতে হবে এবং পরিহার করতে হবে। এ ছাড়াও কিছু সাধারণ ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকতে হবে, যেমন—প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপান ও ধুলা থেকে সাবধান থাকতে হবে। বাসায় বড় কার্পেট ব্যাবহার না করা, বিশেষ করে শোয়ার ঘরে। বাসায় কোনো পোষা জীব, যেমন—পাখি, কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি না রাখা। বাসায় কোনো ধরনের কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার না করা, ভেকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার না করাই ভাল।
পূর্ব থেকে অ্যাজমা সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারনা থাকলে খুব সহজেই হঠাৎ অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয় না।
হাঁপানি বা অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে করনীয়
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রোগীর ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একজন রোগী একটু সতর্ক হলে খুব সহজেই নিজের হাঁপানি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। একজন রোগীর তার রোগ, ওষুধপত্র, উত্তেজক দ্রব্য ও খাবার, ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ইনহেলারের কাজ ও ব্যাবহার ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা থাকলে খুব সহজেই হাঁপানির উপসর্গগুলো সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
চিকিৎসা
হাঁপানির চিকিৎসায় নানান ধরনের ওষুধ ব্যবহৃত হয়, যেমন—রোগ উপশমকারী ওষুধ, রোগ প্রতিরোধ বা বাধাপ্রদানকারী ওষুধ। এ ওষুধগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকার পাশাপাশি কীভাবে কাজ করে, সঠিক মাত্রা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও ভাল ধারনা থাকতে হবে।
হাঁপানি সম্পূর্ণভাবে ভালো করার এখনো কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এ রোগ সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারেন।
হাঁপানি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে তা মারাত্মক হতে পারে এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে কোন কোন উপসর্গে রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সব রোগীর রোগের উপসর্গ কমা বা বাড়ার ব্যাপারে একই উত্তেজক দায়ী নয়। সঠিক চিকিৎসা ও হাঁপানির ওষুধ সঠিকভাবে ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব।
অ্যাজমা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
শ্বাসকষ্ট মানেই কি অ্যাজমা?
শ্বাসকষ্ট মানেই কিন্তু অ্যাজমা নয়। অ্যাজমা ছাড়াও আরও নানান কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যেমন- হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট হতে পারে, যাদের রক্তশূন্যতা আছে, তাদের হতে পারে এছাড়াও কিডনি রোগের ক্ষেত্রেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
সব খাবারে কি সবারই অ্যালার্জি হতে পারে?
ব্যক্তিভেদে বিশেষ খাবারে অ্যাজমা হতে পারে। যেমন- গরুর মাংস কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যাজমার তীব্রতা বৃদ্ধি করলেও সবার ক্ষেত্রে একই রকমের সমস্যা হয় না। একইভাবে চিংড়ি মাছ কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করলেও আরেকজনের ক্ষেত্রে হয়তো কিছুই হয় না, আবার এমনও হতে পারে, গরুর মাংস অথবা চিংড়ি মাছ খেলে কিছুই হয় না কিন্তু বেগুন খেলেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অর্থাৎ, ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির ভিন্ন ভিন্ন খাবারের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে।
অ্যাজমা ছোঁয়াচে রোগ কিনা?
অ্যাজমা ছোঁয়াচে রোগ নয়। বংশগতভাবে অর্থাৎ বংশে কারও অ্যাজমা থাকলে বংশধরদের ভেতর এই রোগ হতে পারে।
বুকের দুধ খেলে শিশুর অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা?
আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেলে শিশুর অ্যাজমা হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই এবং মায়ের সংস্পর্শেও অ্যাজমা হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই।
অ্যাজমা বা হাঁপানি কি সম্পূর্ণভাবে নিরাময়যোগ্য?
অ্যাজমা সম্পূর্ণভাবে ভালো হয় না। তবে এখন অ্যাজমার অনেক আধুনিক চিকিৎসা আছে, অর্থাৎ সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করলে একজন অ্যাজমা রোগী প্রায় সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।
ইনহেলার ব্যবহার কখন করবেন?
ইনহেলার দিয়েই প্রথমে চিকিৎসা শুরু হয়। কারন ইনহেলার দেওয়ার দু-তিন মিনিটের মধ্যেই শ্বাসকষ্ট আর থাকে না। যদিও অনেকের ধারনা সর্বশেষ ওষুধ হিসেবে ইনহেলার ব্যাবহার করা হয় অর্থাৎ ট্যাবলেট, সিরাপ অথবা ক্যাপসুল সবই যখন ব্যর্থ তখন অ্যাজমার চিকিৎসায় ইনহেলার ব্যাবহার করা হয় কিন্তু কথাটা মোটেও সত্য নয়।
সবশেষে
পৃথিবীতে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে অ্যাজমার চিকিৎসা করা যাচ্ছে কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে যে, এমন কিছু ওষুধ নিয়ে বর্তমানে গবেষণা করা হচ্ছে, যার ফলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অ্যাজমা রোগ পুরোপুরিভাবে দূর করা সম্ভব হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাজমা তৈরিকারী দ্রব্যসমূহ শ্বাসনালির টিস্যুতে গিয়ে সি এ এস আর কে কার্যকরি করে তোলে এবং এর ফলস্বরূপ অ্যাজমার লক্ষণসমূহ যেমন প্রদাহ এবং শ্বাসনালি সরু হয়ে যাওয়া প্রকাশ পায়। ক্যালসিলাইটিস সরাসরি ফুসফুসে ব্যবহার করলে এটি অ্যাজমার লক্ষণ অনেকাংশে হ্রাস করে।