বার্ধক্য জনিত রোগ সমূহের মধ্যে অস্থি ও অস্থি-সন্ধির সমস্যা অন্যতম। বার্ধক্য জনিত অস্থি ও অস্থি-সন্ধি সমস্যা সমূহের মধ্যে অস্ট্রিও আথ্রাইটিস, গাউট, আথ্রাইটিস, স্পনডাইলোসিস (সার্ভাইক্যাল, লাম্বার) ইন্টারভাট্রিবাল ডিক্স প্রোল্যাপ্স, অস্ট্রিওপরোসিস, প্যাথলজিক্যাল ফ্রাকচার প্রধান
কারণ সমূহ
এ ধরনের রোগ সাধারণত পুরুষের চেয়ে মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
বার্ধক্য জনিত অস্থি ও সন্ধির সমস্যার মূল কারণ গুলো কি কি?
- বংশগত
- জেনিটিক্যাল কারণ
- রজ:নিবৃত্তি
- অতিরিক্ত ওজন
- হরমোন জনিত সমস্যা
- পুষ্টির অভাব
- এছাড়া পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ আঘাত এবং প্রদাহ জনিত কারণ ও এ সমস্যা গুলি সৃষ্টি হতে পারে।
লক্ষণ
- এ সকল রোগের লক্ষণ সমূহ সাধারণত ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। আক্রান্ত অস্থির ব্যথা, ওজন বাহিত সন্ধি সমূহে (কারো কোমর সন্ধি এবং হাটু সন্ধি) ব্যথা হয়।
- ব্যথা সাধারণত অতিরিক্ত নড়াচড়ার পর অথবা দীর্ঘ সময় অনড় থাকার পর নড়াচড়া চেষ্টা করলে ব্যথা হয়।
- অনেক সময় এ সব ধরণের রোগে রোগী হাটা চলা করার সময় সন্ধির মধ্যে কট কট শব্দ অনুভব করে এবং যখন এ সকল রোগ দীর্ঘস্থায়ী হয় তখন রোগী চলাফেরার শক্তি হারিয়ে ফেলে
- এছাড়া কখনও কখনও অস্থির এবং অস্থি সন্ধির স্থানচ্যুতিও হতে পারে
ব্যবস্থাপনা
- বার্ধক্য জনিত এ ধরণের রোগে নিয়মতান্ত্রিক পরিমিত বিশ্রাম অত্যন্ত দরকার
- শারীরিক পরিশ্রমযুক্ত পেশা পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে হবে
- ঝুঁকিযুক্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ নড়াচড়া পরিহার করতে হবে
- প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঔষধ সেবন করতে হবে
নিরাময়
বার্ধক্যজনিত অস্থি ও সন্ধির সমস্যা সমূহ থেকে কখনও সম্পূর্ণ নিরাময় বা আরোগ্য লাভ করা যাবে না। নিয়ম পালন এবং ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এ সমস্যা গুলোর কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
প্রতিরোধ
শরীরের অতিরিক্ত মেদ/ওজন কমানোর জন্য হালকা ব্যায়াম ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাস করতে হবে।
বার্ধক্য জনিত অস্থি ও অস্থি -সন্ধির সমস্যার ক্ষেত্রে কি ধরণের ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন?
- বার্ধক্য জনিত এ ধরণের রোগে নিয়মতান্ত্রিক পরিমিত বিশ্রাম অত্যন্ত দরকার
- প্রয়োজনে শারীরিক পরিশ্রমযুক্ত পেশা পরিবর্তন করতে হবে
- ঝুঁকিযুক্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ নড়াচড়া পরিহার করতে হবে
- প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঔষধ সেবন করতে হবে