ডায়রিয়া কাকে বলে
সাধারণত দিনে ৩ বা তার বেশী বার পাতলা পায়খানা হওয়াকে ডায়রিয়া বলে। পায়খানায় যদি শুধু মল ও পানি থাকে তাকে পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া এবং পাতলা পায়খানার সাথে রক্ত আসলে তাকে আমাশয় বলে।
ডায়রিয়ার কারণ
- দূষিত খাবার
- দূষিত পানি
- রোগ জীবানু
- কৃমি
ডায়রিয়া হলে করনীয়
শিশুর ডায়রিয়া হলে ঘরে বসে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। যেমন:
- বার বার খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
- বেশি করে তরল খাবার যেমন-ভাতের মাড়, চিড়ার পানি ডাবের পানি খাওয়াতে হবে।
- আর্সেনিক মুক্ত নিরাপদ টিউবওয়েলের পানি খাওয়াতে হবে। টিউবওয়ালের পানি পাওয়া না গেলে পুকুর বা নদীর পানি চুলায় চড়িয়ে বুদবুদ ওঠা থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত ফুটিয়ে খাওয়াতে হবে।
- শিশুকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। অল্প অল্প করে বার বার খাওয়াতে হবে।
- যে সব শিশু মায়ের দুধ খায় তাদের ঘনঘন মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
- স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ মোতাবেক জিন্ক খাওয়াতে হবে।
ডায়রিয়া হলে যা করা যাবে না
- খাবার বন্ধ করা যাবে না।
- স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ ছাড়া ঔষধ দেয়া যাবে না।
স্যালাইন বানানো ও খাওয়ার নিয়ম
- পুরো এক প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে একবারেই ঢেলে দিতে হবে
- স্যালাইন পানিতে পুরোপুরি না মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে
- ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য প্রতি বার পায়খানার পর ১০-২০ চা চামচ পরিমাণ স্যালাইন খাওয়াতে হবে
- ২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য প্রতি বার পাতলা পায়খানার পর ২০-৪০ চা চামচ পরিমান স্যালাইন খাওয়াতে হবে বা যতটুকু খেতে চায় সেই পরিমাণ খাওয়াতে হবে।
- প্যাকেট থেকে বানানো স্যালাইন ১২ ঘন্টা পর্যন্ত খাওয়ানো যায়।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে
- যদি শিশু নেতিয়ে পড়ে বা অজ্ঞান হয়ে যায়।
- যদি খিঁচুনী হয়।
- যদি শিশুর বেশী বেশী পায়খানা বা বমি হয়।
- যদি শিশু খাবার খেতে না পারে।
- শিশুর যদি চোখ বসে যায়।
- শিশুর পাতলা পায়খানায় যদি রক্ত থাকে।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে করণীয়
- ৬ মাসের কম বয়সী শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ ও স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
- যদি সম্ভব হয় তবে শিশুকে অসুস্থ লোক বা রোগী থেকে দূরে রাখতে হবে।
- খাবার তৈরীর আগে, শিশুকে খাওয়াবার পূর্বে এবং পায়খানার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- সব সময় সিদ্ধ ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে।
- বোতলের দুধ খাওয়ানোর থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় চামচ ব্যবহার করতে হবে।
- জলাবদ্ধ পায়খানা ব্যবহার করতে হবে।
- শিশুকে হামের টিকা দিতে হবে।
শিশুর ডায়রিয়া হলে কি করতে হবে?
শিশুকে:
- ৬ মাসের কম বয়সী শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ ও স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
- যদি সম্ভব হয় তবে শিশুকে অসুস্থ লোক বা রোগী থেকে দূরে রাখতে হবে।
- খাবার তৈরীর আগে শিশুকে খাওয়ার পূর্বে এবং পায়খানার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- সব সময় সিদ্ধ ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে।
- বোতলের দুধ খাওয়ানোর থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় চামচ ব্যবহার করতে হবে।