আমাদের শরীরের বৃহদান্ত্রের শুরুতেই একটি ছোট্ট কৃমি আকৃতির অঙ্গের নাম ভারমিফরম অ্যাপেন্ডিক্স। আকার এবং আকৃতিতে এটি বৈচিত্র্যময়। এর অবস্থান পেটের নিচের দিকে ডান পাশে। ভেতরটা ফাঁকা। কাজেই কৃমি, মল, পাথর-এ জাতীয় কোনোকিছু ঢুকে গেলে সহজে বের হতে পারে না। তাছাড়া সামান্য প্রদাহে গহ্বরটি বন্ধ হতে পারে। মলনালীর যেকোনো ইনফেকশনে অ্যাপেন্ডিক্সের গহবরের লসিকাতন্ত্র ফুলে ওঠে প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি হয়।
রোগের উপসর্গ
- প্রাথমিকভাবে নাভীর চারদিকে তীব্র ব্যথা শুরু হয়ে নাভী ও কোমরের হাড়ের (ডান দিকে) মাঝামাঝি জায়গায় স্থায়ী হয়
- পেট শক্ত হয়ে যায়
- বমি হতে পারে
রোগ নির্ণয়
- রোগীর রোগ বৃত্তান্ত এবং শারীরিক পরীক্ষার দ্বারা
- এই রোগটি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট বা আলট্রাসনোগ্রাম করার প্রয়োজন নেই। তবে চিকিৎসক যদি সন্দেহাতীত না হন তাহলে প্রস্রাব পরীক্ষা, পেটের এক্স-রে এমনকি তলপেটের আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য বলতে পারেন
চিকিৎসা
এ রোগের একমাত্র চিকিৎসা অপারেশন। কোনো ওষুধে বা অ্যান্টিবায়োটিকে এ রোগ সারে না। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যা দেখা দিলে অপারেশন ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই করতে হয়। না হলে অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন না করালে মৃত্যুঝুঁকি প্রতি হাজারে ১ জন। আবার ফেটে যাওয়ার পর অপারেশন করালে মৃত্যুঝুঁকি প্রতি হাজারে ২০ জন। আর ফেটে যাওয়ার আগে-পরে অপারেশন না করালে মৃত্যুঝুঁকি প্রতি হাজারে প্রায় ৫০০ জন।
অপারেশনের পর সমস্যা
অ্যাপেন্ডিক্সের কাজ এতোই নগণ্য যে, এটি কেটে ফেললেও শরীর তেমন কোনো সমস্যা দেখা দেয় না। স্বাভাবিক কাজকর্ম করা সম্ভব। খাওয়া-দাওয়াতেও কোনো ধরনের সমস্য হয় না।
কিভাবে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নির্ণয় করা যায়?
- রোগীর রোগ বৃত্তান্ত এবং শারীরিক পরীক্ষার দ্বারা
- এই রোগটি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট বা আলট্রাসনোগ্রাম করার প্রয়োজন নেই। তবে চিকিৎসক যদি সন্দেহাতীত না হন তাহলে প্রস্রাব পরীক্ষা, পেটের এক্স-রে এমনকি তলপেটের আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য বলতে পারেন।
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসা কি?
এ রোগের একমাত্র চিকিৎসা অপারেশন। কোনো ওষুধে বা অ্যান্টিবায়োটিকে রোগ সারে না। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যা দেখা দিলে অপারেশন ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই করতে হয়।
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অপারেশনের পর কি কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে?
অ্যাপেন্ডিক্সের কাজ এতোই নগণ্য যে, এটি কেটে ফেললেও শরীর তেমন কোনো সমস্যা দেখা দেয় না। স্বাভাবিক কাজকর্ম করা সম্ভব। খাওয়া-দাওয়াতেও কোনো সমস্য হয় না।