এবরশন / গর্ভপাত
জরায়ু থেকে অপরিণত ভ্রুণ বেরিয়ে আসাকে গর্ভপাত বলা হয়। গর্ভপাত ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘটানো যায়, আবার কখনও কোন আঘাত বা কারণ ছাড়াই জরায়ু থেকে ভ্রুণ বেরিয়ে আসতে পারে। এই গর্ভপাত গর্ভকালীন যে কোন জটিলতার কারণে স্বত:স্ফূর্তভাবেই সংঘটিত হতে পারে অথবা কৃত্রিমভাবেও করা যেতে পারে।
স্বত: স্ফূর্ত গর্ভপাত
গর্ভধারণের ২২ সপ্তাহের মধ্যে কোন দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বা প্রাকৃতিক কারণে জরায়ু থেকে ভ্রুণের বের হয়ে আসাকে স্বত:স্ফূর্ত গর্ভপাত বলে।
কৃত্রিম উপায়ে গর্ভপাত
গর্ভ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন উপায়ে গর্ভপাত ঘটানো যেতে পারে। উপায় সমূহ প্রধানত: গর্ভধারণকাল বা ভ্রুণের বয়স বা আকারের উপর নির্ভর করে।
ঔষধ প্রয়োগ
ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমেও গর্ভপাত ঘটানো যায় । এটি গর্ভকালের প্রথম তিনমাসের মধ্যে কার্যকর।
শল্য/যন্ত্র প্রয়োগ
গর্ভকালের প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে চোষণ যন্ত্রের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটানো হয়ে থাকে। পরবর্তীকালে গর্ভপাত মায়ের মারাত্মক ক্ষতি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
গর্ভপাত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
গর্ভপাতের জন্য মাসিক নিয়মিতকরণ পদ্ধতি কোথায় আছে এবং গর্ভের কতদিনের মধ্যে গর্ভপাত নিরাপদ, এ তথ্য জানা থাকলে এবং সেবা পাওয়া গেলে অনিরাপদ গর্ভপাত এড়ানো সম্ভব।
মাসিক নিয়মিতকরণ
মাসিক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রয়েছে মাসিক নিয়মিতকরণ বা এম.আর. পদ্ধতি। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী মাসিক নিয়মিতকরণ কেবলমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক শেষ মাসিকের ১ম দিন থেকে ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত সম্পন্ন করতে পারেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা শেষ মাসিকের ১ম দিন থেকে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত মাসিক নিয়মিতকরণ সেবা দিতে পারেন।
গর্ভপাত প্রতিরোধ বিষয়ক বার্তা
- গর্ভপাত মায়ের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে,এমনকি মৃত্যুও হতে পারে
- পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ রোধ করলে গর্ভপাতের প্রয়োজন হয় না
- গর্ভপাত এড়াতে হলে গর্ভকালীন অবস্থায় সংসারের ভারী কাজ করা যাবে না
অনিরাপদ গর্ভপাত প্রতিরোধ
- গর্ভপাতের জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডাক্তার বা সেবা প্রদানকারীর কাছে যেতে হবে
- গর্ভপাতের জন্য হাতুড়ে ডাক্তারের কোন ওষুধ বা শিকড় ব্যবহার করলে গর্ভবতী মহিলা মারা যেতে পারেন
- গর্ভপাতের বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
গর্ভপাত কাকে বলে?
জরায়ু থেকে ভ্রুণ বেরিয়ে আসাকে গর্ভপাত বলা হয়। গর্ভপাত ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘটানো যায়, আবার কখনও কোন আঘাত বা কারণ ছাড়াই জরায়ু থেকে ভ্রুণ বেরিয়ে আসতে পারে।
স্বত:স্ফূর্ত গর্ভপাত কোনটি?
গর্ভধারণের ২২ সপ্তাহের মধ্যে কোন দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বা প্রাকৃতিক কারণে জরায়ু থেকে ভ্রুণের বের হয়ে আসাকে স্বত:স্ফূর্ত গর্ভপাত বলে।
ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে গর্ভপাত কতদিনের মধ্যে করতে হয়?
ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে গর্ভপাত গর্ভকালের প্রথম তিনমাসের মধ্যে কার্যকর।
শল্য/যন্ত্র প্রয়োগের মাধ্যমে কতদিনের মধ্যে গর্ভপাত ঘটানো হয়ে থাকে?
গর্ভকালের প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে চোষণ যন্ত্রের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটানো হয়ে থাকে। পরবর্তীকালে গর্ভপাত মায়ের মারাত্মক ক্ষতি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।