নানা সূত্রে নিশ্চয়ই আপনিও জেনে গেছেন যে ওজন কমাতে হলে কম খেতে হবে। কিন্তু আপনি ওজন কমাতে চান আর না চান, বাইরে কাজ করা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এটা ঠিক, যখন আপনি খাবার পরিকল্পনা তৈরি করছেন কিংবা পরিকল্পনা করছেন জিমে যাওয়ার- তখন এটি সম্ভাব্য কার্যকর অবস্থা তৈরি করছে। যদি আপনি ব্যায়াম করে ক্যালোরি খরচ করে ফেলেন, এর অর্থ কী এটা যে আপনি সেই ক্যালোরি পুনরায় গ্রহণ করতে পারবেন – যতক্ষণ আপনার নিজের যথেষ্ট ঘাটতি থাকে?
ক্যালোরি বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী ওজন কমাতে কোন ব্যায়াম করলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন তার কয়েকটি সুপারিশ দেওয়া হলো :
ব্যায়ামে কী পরিমাণ কালোরি খরচ হয়?
ব্যায়ামে কী পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হয় তা নির্ভর করে ব্যায়ামের ধরন ও আপনার শরীরের ওজনের ওপর। মায়ো ক্লিনিক’র মতে, প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ পাউন্ড ওজনের একজন ব্যক্তির খরচ হতে পারে:
ভ্রমণে ৪৩৮ ক্যালোরি
দৌড়ে ৬০৬ ক্যালোরি
হাঁটায় ৩১৪ ক্যালোরি
সাইক্লিংয়ে ২৯২ ক্যালোরি
ব্যায়াম কেবল ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা নয় – এটি দীর্ঘমেয়াদে সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য। শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা প্রায়ই স্থূলতা ও হৃদরোগের মতো রোগের ঝুঁকির কারণ হয়। কিন্তু যদি আপনি ওজন কমাতে চান আপনাকে সক্রিয় হতেই হবে।
ওজন কমাতে কত ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে?
সবার ক্ষেত্রে সবকিছু কাজ করে না। এর একটি সম্ভাব্য কারণ হলো মানুষ মনে করে যে তারা আরো বেশি খেতে পারে – বা এমনকি এটি উপলব্ধি না করেও তা করতে পারে। যদি আপনি দৈনিক প্রায় ২০০০ ক্যালোরি গ্রহণ করেন, তবে আপনাকে সংখ্যাটি ১৫০০-তে নামিয়ে আনতে হবে।
কিন্তু ব্যায়ামের মাধ্যমে এটি কীভাবে সম্ভব? আপনি যেসব দিনে কাজ করেন না সেসব দিনেও বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করেন, আবার যেসব দিনে কাজ করেন সেসব দিনে কম ক্যালোরি গ্রহণ করতে চান না। অর্থাৎ ব্যায়াম করেন আর না করেন আপনি প্রতিদিন একই পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করেন।
এমন নয় যে ক্যালোরি খরচ করা কিংবা পুনরায় অর্জন করার বিষয়টি বাইরে কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত। ওজন কমাতে হলে মানসম্মত খাবার খেতে হবে এবং অর্জিত বাড়তি ক্যালোরি খরচ করে ফেলতে হবে। আপনি যদি ৩০ মিনিট কাজ করে ৪০০ ক্যালোরি খরচ করেন তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনি এখন ৪০০ ক্যালোরি ফিরে আসে এমন খাবার খাবেন।
ওজন কমাতে হলে আপনাকে উচ্চ-ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার কম খেতে হবে, আর খরচ করতে হবে বেশি ক্যালোরি।
ওজন কমাতে কয়েকটি উত্তম ব্যায়াম
ওজন কমাতে হলে এমন ব্যায়াম করতে হবে যাতে আপনার পেশিসহ পুরো শরীর সক্রিয় থাকে এবং হৃদস্পন্দন বাড়ে। সেই হিসেবে সাইক্লিং, সাঁতার, ভারোত্তোলন উত্তম ব্যায়াম।