স্থূলতা, ধূমপান, অ্যালকোহল গ্রহণ এবং বিষণ্নতার মতোই একাকীত্ব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
স্মার্টফোনের সামাজিক অ্যাপগুলো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। কিন্তু ফেসবুকের পোস্ট কমিয়েছে আবেগ। ইনস্টাগ্রাম মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করলেও বৃদ্ধি করছে সম্পর্কের দূরত্ব।
প্রতিদিন গণপরিবহনে বিষয়টি স্পষ্ট হয় যেখানে লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে ভ্রমণ করে। সবাই একই গোষ্ঠীভুক্ত অথচ চরম বিচ্ছিন্নতা বিরাজ করছে তাদের মধ্যকার সম্পর্কে। কেননা, অন্যের ভেতরের মানুষকে স্পর্শ করার চেয়ে তারা জড়িয়ে পড়ছে স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি জরিপ পরিচালনা করে গ্লোবাল হেলথ সার্ভিস কম্পানি সিগনা। জরিপে জেনারেশন জেড (১৮-২২ প্রাপ্তবয়স্ক)-কে একাকীত্বের প্রজন্ম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে দেখানো হয়েছে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ব্যবহার করে না (৪১.৭%) এবং নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করে তাদের চেয়ে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে (৪৩.৫%) তারা বেশি একাকীত্বে ভোগে।
অন্তত ৭০টি গবেষণার ফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পরিবারগুলো ছোট হয়ে যাওয়ার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি মানুষ ঝুঁকে পড়ছে বেশি। মানুষ কাজের সন্ধানে নিজের এলাকা ছাড়ছে। বয়সের সাথে সাথে গোষ্ঠী, সম্প্রদায় এবং মহাদেশজুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে একাকীত্বের ঝুঁকি। এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার ৩.৪ মিলিয়ন মানুষ এই ঝুঁকিতে রয়েছে। পারসপেক্টিভ অন সাইকোলজিকাল সায়েন্সে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিষন্নতা, হৃদরোগ এবং আলজাইমারস’র মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায় একাকীত্ব। যুক্তরাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী ৭৫ বছর এবং তার বেশি বয়সী প্রায় দুই লাখ মানুষ বলেছেন যে তাঁরা এক মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে কোনো বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।