সাধারণত নারীদেরই প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়ে থাকে। কিন্তু পুরুষদের প্রস্রাবে সংক্রমণ একেবারেই হয় না, তা নয়। কিছু রোগ ও সমস্যা পুরুষের প্রস্রাবে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে পুরুষের প্রস্রাবে সংক্রমণ হলে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হয়।
* বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থি আকারে বড় হতে থাকে এবং এটি মূত্রথলির মুখে চাপ সৃষ্টি করে। ফলে প্রস্রাবের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হয়, প্রস্রাব করার পরও কিছু থলিতে জমে থাকে। এই জমে থাকা প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়ার প্রবণতা বেশি।
* অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মূত্রথলির নমনীয়তা নষ্ট হয়।
* কিডনি, মূত্রনালি বা মূত্রথলির কোনো জায়গায় পাথর হলে, মূত্রতন্ত্রে কোনো শল্যচিকিৎসা করা হলে কিংবা কোনো কারণে ক্যাথেটার লাগানো হলে প্রস্রাবে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। স্ট্রোকের পরও এই সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
* যাদের মুসলমানি হয়নি এবং যারা অস্বাস্থ্যকর যৌনকর্মে অভ্যস্ত, তাদের প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
লক্ষণ
প্রস্রাবে সংক্রমণ হলে তলপেটে ব্যথা, অস্বস্তি, প্রস্রাবে জ্বালা বা প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, জ্বর, বমি ভাব, কাঁপুনি, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং প্রস্রাব ঠিকমতো হয়নি এমন একটা বোধ ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। এ ছাড়া প্রস্রাবের রং লালচে হতে পারে। কখনো পিঠের পেছনে দুই দিকে ব্যথা হতে পারে।
প্রস্রাবে সংক্রমণ প্রতিরোধে কী করবেন?
* প্রস্রাব আটকে রাখবেন না।
* রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
* যথেষ্ট পানি পান করুন।
* পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। স্বাস্থ্যকর যৌনাচার পালন করুন।
* কারণ অনুসন্ধান করার জন্য রক্তে শর্করা, প্রোস্টেটের আকার দেখা, কিডনির আলট্রাসাউন্ড ইত্যাদিও করা লাগতে পারে।