এসব প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হলে সতর্ক হোন
আপনি কি ধূমপান করেন?
আপনার পরিবারে কি হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস আছে?
আপনার কি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি আছে?
আপনি কি কায়িক শ্রমবিহীন জীবন যাপন করেন? আপনি কি স্থূল?
আপনার মানসিক চাপ কি প্রচণ্ড?
কর্মক্ষম মানুষের অকালমৃত্যু ও অকালে কর্মহীন হয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হৃদ্রোগ। হৃদ্রোগ হলো নীরব ঘাতক। বড় ধরনের সমস্যা ঘটে যাওয়ার আগে প্রায়ই তেমন জানান দেয় না। দিব্যি সুস্থ সবলভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেউ, কোনো সমস্যা নেই, একদিন হঠাৎ শোনা যায় তাঁর ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ হয়ে গেছে। এ রকম হার্ট অ্যাটাকের পরিণতি হয় সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু, নয়তো জীবনের সঙ্গে আপস করে কোনোমতে চলা। তাই হৃদ্রোগ হওয়ার আগেই সাবধান হতে হবে।
কোনো সমস্যা বোধ করছেন না, বুকে ব্যথা করে না কখনো, অনেক পরিশ্রমও করতে পারেন, তার মানে আপনার কোনো দিন হার্ট অ্যাটাক হবে না—এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। কারও হৃদ্রোগ হওয়ার ঝুঁকি কতটুকু আছে, তা জানতে চিকিৎসকেরা কয়েকটি প্রশ্ন করে থাকেন। আপনি কি ধূমপান করেন? আপনার পরিবারে কি হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস বা অল্প বয়সে হঠাৎ মৃত্যুর ইতিহাস আছে? আপনার কি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি আছে? আপনি কি কায়িক শ্রমবিহীন জীবন যাপন করেন? আপনি কি স্থূল? আপনার মানসিক চাপ কি প্রচণ্ড? এসব প্রশ্নের উত্তর যদি বেশির ভাগই ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক।
নিজের হার্টকে জানুন
হার্টকে ভালোবাসতে হলে নিজের হার্ট সম্পর্কে জানা জরুরি। কখনো কি তার ভালোমন্দ জানতে চেয়েছেন? ভাবছেন হার্টের ভালোমন্দ আবার কী করে জানবেন? খুব সোজা। নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন। বয়স ৩৫-এর ওপর হলে বছরে বা দুই বছরে একবার রক্তে শর্করা ও চর্বির পরিমাণ পরীক্ষা করে নিন। উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন ঠিক আছে কি না, তা বিএমআই ক্যালকুলেটরে হিসাব করে নিন।
সবাই মিলে হার্টের যত্ন নিই
নিজের ও নিজের পরিবারের শুধু নয়, সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে সবারই দায়বদ্ধতা দরকার। সুস্থ সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম, প্রতিদিন তাজা শাকসবজি, ফলমূল গ্রহণ, লবণ-চর্বি ও তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা, ধূমপান-জর্দা তামাককে ‘না’ বলা, প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন রাতের ঘুম, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এড়াতে আনন্দময় পারিবারিক বন্ধন ও বন্ধুত্ব গড়ে তোলা, শখের চর্চা—এ রকম নানা ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমেই আপনি নিজের ও সবার হার্টের যত্ন নিতে শুরু করতে পারেন। সেই শুরুটা আজই হোক না কেন।