কিডনি ভাল রাখতে যা করা উচিৎ

কিডনি রোগের ভয়াবহতা থেকে মুক্ত থাকতে হলে অবশ্যই স্থূলতা পরিহার করতে হবে। মেদকে না বলতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন করলেই স্থূলতা দূর হবে। এজন্য আমাদের জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। বর্তমানে প্রায় দুই কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে ভুগছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এখন পর্যন্ত ক্রিয়েটিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো ওষুধ বের না হলেও যথাযথ পথ্য নিয়ন্ত্রণ করে কিডনিকে বিশ্রাম দিতে পারলে ক্রিয়েটিনের মাত্রা বাড়ায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা সম্ভব। রক্তে ক্রিয়েটিনের মাত্রা বেড়ে গেলে বুঝতে হবে অবশ্যই রোগীকে তার ডায়েট নির্ধারণ করতে হবে।

কিডনি রোগীদের জন্য অন্য রোগীদের তুলনায় একটু বেশি ক্যালোরি নির্ধারণ করা হয়। প্রতি কেজি ওজনের জন্য এই পরিমাণ ৩০ থেকে ৩৫ ক্যালোরি হয়ে থাকে। কিডনি রোগীর জন্য ক্যালোরি বেশিরভাগই কার্বোহাইড্রেট থেকে বরাদ্দ করা হয়।

কিডনি রোগীর সোডিয়ামও নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা, ইডিমা এবং গ্রহণ করা ওষুধের ভিত্তিতে সাধারণত প্রতিদিন ২ থেকে ৫ গ্রাম লবণ গ্রহণ করতে পারেন। ১ চামচ সমান ৫ গ্রাম।

কিডনি রোগীদের অনেক শারীরিক দূর্বলতা ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা যায়। বিশেষ করে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে রোগীকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সাপলিমেন্ট বা ইঞ্জেকশন নিতে হতে পারে। তবে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য না জেনে কখনোই কোনো খাবার গ্রহণ করা উচিত না।

প্রত্যেক কিডনি রোগীর জন্য যদিও স্বতন্ত্র ডায়েট তারপরও কিছু খাবার আছে যা সব কিডনি রোগীকেই পরিহার করতে বলা হয়। যেমন: ডাল, কোল্ড ড্রিংকস, আঁচার, গরু, খাসীর মাংস, ভাজাপোড়া খাবার, কফি, চানাচুর, পাপড়, বাইরের কেনা খাবার ও বাসি খাবার।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *