–আপনার শিশুকে এমন খাদ্য দেবেন যাতে শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও তার দেহ ইনফেকশন ও অসুস্থতার মোকাবিলা করতে পারে। শিশুকে পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়ার মাধ্যমে আপনি তাকে আরও প্রতিরোধক্ষম করে তুলে তার অসুস্থতার প্রবণতাকে কমাতে পারেন।
২. আমার শিশু খাওয়ার বিষয়ে খুঁতখুঁতে। আমার কিছুই করার নেই?
— খাওয়ার ব্যাপারে খুঁতখুঁতে স্বভাব ডাক্তারি দিক দিয়ে কোনওভাবেই ভাল নয়। এই কারণে আপনার শিশুর পুষ্টির অভাব হতে পারে। ৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ঠিকমতো খাদ্যাভ্যাস করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিশুর বৃদ্ধিতে এই বয়স খুবই জরুরি।
৩. শিশুর বেড়ে ওঠায় কী কী বিষয়ে নজর রাখা জরুরি?
— শিশুর বৃদ্ধির প্রতি দৃষ্টি রাখলে পুষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা বা অন্য কোনও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা নির্ণয় করা যায়। যেগুলো সাধারণত আমাদের নজরে পড়ে না। এমনকি শিশু অসুস্থ না হলেও এইভাবে অনেক সমস্যা বোঝা যায়। গ্রোথ চার্টে শিশুর উচ্চতা ও ওজন লিখে রাখলে কমপক্ষে ৬ বছর পর্যন্ত শিশুর বিকাশ ও উন্নয়নের বিষয়টা নজরে রাখা সম্ভব।
৪. আমার শিশুর পক্ষে সমস্ত ফ্যাট অস্বাস্থ্যকর?
— ফ্যাট হলো শিশুর শক্তির জমে থাকা উত্স এবং প্রাথমিক বছরগুলোয় শিশুর বিকাশে যা খুবই আবশ্যক। প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর ব্রেনের বিকাশে সহায়তা করে। অবশ্য জাঙ্ক ফুড ইত্যাদির মতো খাদ্য থেকে যে অতিরিক্ত ফ্যাট আসে তা স্থূলত্ব বাড়িয়ে তোলে।
৫. আমি বেঁটে, তাই আমার সন্তানও বেঁটে হবে?
— শিশুর উচ্চতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জেনেটিক্স প্রধান বিষয় হলেও পুষ্টি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার শিশুকে পরিপূর্ণ বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করুন তাকে সুষম ও সম্পূর্ণ পুষ্টিদায়ক খাবার দিয়ে।