স্তনের ব্যথা বেশির ভাগ মহিলাদের একটা সাধারণ সমস্যা। অনেকেই এ ধরণের অসুবিধায় ভুগে থাকেন।
তবে মানসিক ভাবে অস্বস্তিকর হলেও এই ব্যথার কারণ এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যাটা জটিল নয়।
প্রকারভেদঃ
স্তনের ব্যথা সাধারণত দুই ধরণের হয়ে থাকে
১। শুধুমাত্র স্তনে,
ক) নিয়মিত(মাসিক পূর্ববর্তী)
খ) অনিয়মিত।
২। স্তন এর বাইরে অন্য কোন উৎস থেকে; যেমন: বুকের পাজর থেকে।
তাছাড়া ৫% স্তন ক্যান্সারের রোগীর ক্ষেত্রেও ব্যথা হতে পারে।
আবার কখনো কখনো দুগ্ধ দানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ইনফেকশন বা ফোঁড়া হলেও স্তনে ব্যথা হয়।
লক্ষণ :
১। স্তন এর পুরো অংশ বা একাংশ ফুলে যাওয়া।
২। ইনফেকশন এর ক্ষেত্রে লাল হয়ে যাওয়া।
৩। ফোড়ার ক্ষেত্রে একটা স্থানে সাদা ভাব।
৪। স্তনের বিভিন্নস্থানে গুটি অনুভূত হওয়া।
সাধারণত মাসিক পূর্ববর্তী সময়ে, মাসিকের সময়ে এবং যারা জন্মবিরতিকরণ পিল খান তাদের ক্ষেত্রে এই ব্যথা সেই সময়টাতে বেশি হয়।
রোগ নির্ণয়:
১। রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীর বিস্তারিত ইতিহাস জানা এবং শারীরিক ডাক্তারী পরীক্ষা সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ।
২। যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশী মূলতঃ তাদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার হয়েছে কিনা তা জানা আবশ্যক।
সেক্ষেত্রে স্তনের মেমোগ্রাফী করা প্রয়োজন।
চিকিৎসা :
১। স্তনে সাধারণ ব্যথা যা মাসিক বা জন্মবিরতিকরণ পিলের সাথে সম্পর্কিত …
- রোগীকে আস্বস্ত করা
- প্যারাসিটামল বা অন্য ব্যথানাশক
- সয়া দুধ উপকারী হতে পারে।
- চর্বি জাতীয় খাদ্য বর্জন করতে হবে।
- হরমোনাল চিকিৎসাঃ Tamoxifen, Danazol, GNRH Analogue.
২। ইনফেকশন হলে এন্টিবায়োটিক।
৩। ফোঁড়া হলে তা ড্রেইন করে এন্টিবায়োটিক।
৪। ক্যান্সার হলে…ক্যান্সারের নির্দিষ্ট চিকিৎসা।
যেহেতু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্তনে ব্যথার কারণ জটিল কোন রোগ নয়, সেহেতু লক্ষনসমূহের সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট।
ডাঃ শরীফ নাজমুন্নাহার মিলি
এমবিবিএস, এফসিপিএস (অবস এন্ড গাইনি)
গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
এন আই সি আর এইচ, ঢাকা।