ভাঙলে বা মচকালে-
রিকশা থেকে বেকায়দা অবস্থায় পরে গিয়ে বা উঁচু স্থান থেকে পরে গিয়ে বা খেলাধুলা করার সময় আমাদের হাত-পা মচকে যেতে পারে। এই অবস্থায় যা করবেন-
- আঘাতের স্থান ও পরিমান নিরুপণ করুন।
- হাতে বা পায়ে ফুলে গেলে সেখানে বরফ সেঁক দিন।
- ডাইক্লোফেনাক জেল হালকা করে লাগিয়ে দেয়া যেতে পারে।
- তবে কোথাও কেটে গেলে ঐ ক্ষতের ওপর সরাসরি এ রকম ক্রিম লাগাবেন না।
- আক্রান্ত স্থান ম্যাসাজ করবেন না। আক্রান্ত স্থান বিশ্রামে রাখুন।
- ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন।
- তবে অতিরিক্ত ফুলে গেলে বা চামড়ার নিচে কালো হয়ে গেলে হাড়টি ভেঙেছে বলে ধরে নেয়া যায়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে এক্স-রে করে নিশ্চিত হোন ও যথাযথ চিকিৎসা নিন।
হাড় ভাঙ্গার পর প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার জন্য যে কাজগুলো করতে পারেন-
১. ভাঙ্গা অঙ্গটি চিহ্নিত করুন।
২. ভাঙ্গা অঙ্গটি অহেতুক নড়াচড়া করবেন না।
৩. শরীরে অন্য কোন স্থানে হাড় ভাঙ্গা আছে কিনা পরীক্ষা করুন। বিশেষ করে লক্ষ করুন কোমড়, মেরুদন্ড, বুক বা পাঁজরের হাড় ভেঙ্গেছে কি না।
৪. হাত বা পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেলে বাঁশের চটা বা কাঠের টুকরা বা স্প্রীন্ট দিয়ে ভাঙ্গা জায়গাটি ব্যান্ডেজ বা এক টুকরা কাপড় দিয়ে বেঁধে দিন যাতে ভাঙ্গা অংশ নড়াচড়া করতে না পারে।
৫. যদি হাতের হাড় ভেঙ্গে গিয়ে থাকে, স্প্রীন্ট দেওয়ার পর ব্যান্ডেজ বা কাপড়ের সাহায্যে বা সস্নিং করে ভাঙ্গা হাতকে গলার সাথে ঝুলিয়ে দিন।
৬. যদি কোমর বা মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে গিয়ে থাকে তাহলে ঐ ব্যক্তির শরীরের নিচে সাবধানে একটা চার হাত লম্বা এবং দেড় হাত চওড়া কাঠের তক্তা স্থাপন করুন এবং ব্যক্তিটিকে কাঠের তক্তার সাথে সাবধানে ব্যান্ডেজ বা কাপড়ের টুকরা দিয়ে বেঁধে ফালুন (মাথা, বুক, কোমর, হাঁটু ও পায়ের পাতা বরাবর বাঁধন দিতে হবে)। এবার তক্তার দুই দিকে দড়ি ও বাঁশ বা কাঠের টুকরার সাহায্যে স্ট্রেচারের মত তৈরি করুন এবং তাকে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেয়ার ব্যবস্থা করুন।