শীতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবার টিপস

চলতে শীতকাল। শীতে অসুস্থ হয়ে পড়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এই সময় বেশিরভাগ মানুষ ছুটি কাটানোর পরিকল্পনায় বেশি ব্যস্ত থাকে, স্বাস্থ্যের ব্যাপারে নজর থাকে খুব কম।

তাপমাত্রা কম থাকায় শীতে গরম খাবারের প্রতি আমাদের আগ্রহ থাকে। বিষয়টি স্বাভাবিক তবে, শরীর সুস্থ রাখতে এসব খাবার আইটেম থেকে যথেষ্ট পুষ্টি পাওয়া যাচ্ছে কি-না তা ভাবতে হবে।

দিন খাটো আর রাত দীর্ঘ হওয়ার কারণে ব্যায়াম করা ও সঠিক খাবার গ্রহণ এই সময় আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এই অভ্যাস আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে তুলতে পারে, এটি সংবেদনশীল করে তুলতে পারে আমাদের অনেক রোগের জন্য।

কিন্তু কষ্ট করে হলেও কিছু নিয়ম মেনে আপনার খাবার তালিকায় কিছু পরিবর্তন করে আপনি এই শীতেও থাকতে পারেন দিব্যি সুস্থ। এখানে কিছু খাবার টিপস দেওয়া হলো যা আপনাকে শীতকালীন অসুস্থতা থেকে রক্ষা করবে:

১। বাড়াতে হবে ভিটামিন সি’র পরিমাণ
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ভিটামিন সি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যার অভাবে শীতে দুর্বল হয়ে পড়ার সুযোগ তৈরি হয়। এটি আমাদের ত্বকের সুরক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও পরিচিত যা প্রচুর স্বাস্থ্য সমস্যার বিপরীতে শরীরকে সুরক্ষা করে। সুতরাং, এই ঋতুতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন পেয়ারা, ব্রোকোলি, লেবু, পেঁপে, স্ট্রবেরি, কমলা ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে।

২। বেশি করে জিংক গ্রহণ
স্বাস্থবান শরীর ও প্রতিরোধ ব্যবস্থায় শরীরের জন্য জিংক নামের উপাদানটির প্রয়োজন অনেক। এর ঘাটতি থাকলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরে বাসা বাঁধে রোগ ব্যাধি। জিংক শরীরের টিসু বৃদ্ধি ও তা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। সুতরাং, উপাদানটির ঘাটতি পূরণে বেশি করে মাংস, শিম জাতীয় সবজি, বীজ, দুধ, বাদাম, আস্ত শস্যদানা, ডার্ক চকোলেট ইত্যাদি খেতে হবে।

৩। আয়রত সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ
আয়রন হলো এমন খনিজ যা অক্সিজেন বহন করে সমস্ত শরীরজুড়ে রক্তের লৌহিত কণিকা উৎপাদনসহ বিভিন্ন কাজ করে। এর অভাবে অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। তবে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেলে সেই সম্ভাবনা দূর হয়। এ জন্য খাওয়া যেতে পারে খোলসযুক্ত মাছ, পালং শাক, শিম জাতীয় সবজি, কুমড়া বীজ, ব্রোকোলি ইত্যাদি।

৪। ডিম আর মাছ
ডিমে রয়েছে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, সেলেনিয়াম, জিংক, আয়রন, কপার এবং ভিটামিন ডি, বি-৬, এবং বি-১২। অন্যদিকে, মাছ হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন এবং ভিটামিন-ডি’র বড় উৎস। ডিম আর মাছে রয়েছে ভালো কোলেস্টেরল বৃ্দ্ধি, বিভিন্ন রোগ থেকে হৃদযন্ত্রকে রক্ষাসহ নানা উপকারিতা।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *