মুখের দুর্গন্ধ কাটাতে ৭ পরামর্শ

শেয়ার করুন

সুচিপত্র

No headings were found on this page.

মুখের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পেতে বাজারের মাউথওয়াশ, স্প্রে, কখনো নানা ধরনের মসলার ব্যবহার খুবই প্রচলিত। কিন্তু আসলে কি এসবে কোনো উপকার হয়? আবার বেশি মাউথওয়াশ ব্যবহারে কি কোনো ক্ষতি আছে?

১. অ্যালকোহলযুক্ত মাউথওয়াশ বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। এটা মুখগহ্বরকে শুষ্ক করে তোলে। শুষ্ক মুখে ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্মায়। তার চেয়ে প্রয়োজনে অল্প গরম লবণ মিশ্রিত পানি দিয়ে বারবার কুলকুচি করা ভালো। এ ছাড়া অর্ধেক পানি ও অর্ধেক হাইড্রোজেন পার–অক্সাইডের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে। হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেয় না।

২. সজীব নিশ্বাসের জন্য টুথব্রাশে দাঁত ব্রাশ করার সময় কয়েক ফোঁটা চা-পাতার তেল অথবা পুদিনার তেল যোগ করতে পারেন। এটা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।

৩. যাঁরা মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে ভুগছেন, তাঁদের উচিত প্রতিবার খাবারের পর ভালোভাবে কুলকুচি করা। এতে মুখের ভেতরের জমে থাকা খাদ্যকণা বের হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর কোনো সুযোগ পাবে না।

৪. বেশির ভাগ মানুষ শুধু দাঁত পরিষ্কার করেন। কিন্তু জিহ্বা পরিষ্কার করাটাও জরুরি। বিশেষ টাং ক্লিনারের সাহায্যে এটা করা যায়। জিহ্বায় অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা দুর্গন্ধের জন্য দায়ী।


যাঁদের মুখগহ্বর বেশি শুষ্ক, তাঁরা মুখের দুর্গন্ধের সমস্যায় বেশি ভোগেন। তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করতে হবে। মুখের লালা নিঃসরণ বাড়াতে চিনিবিহীন গাম অথবা লজেন্স বা সুগার লেস চুইংগাম খেতে পারেন।

৬. ক্যাফেইন ও অ্যালকোহলও মুখের শুষ্কতার জন্য দায়ী। তাই এসব থেকে বিরত থাকতে হবে।

৭. নিকোটিন হচ্ছে সবচেয়ে বড় শত্রু। দাঁত ও জিহ্বায় এই নিকোটিন জমে। ধূমপান মুখগহ্বরকে অধিক পরিমাণে শুষ্ক করে তোলে, এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালাও তৈরি হয় না। তা ছাড়া পান, সুপারি, জর্দা ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে।