থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্ত রোগ। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হলে থ্যালাসেমিয়া দেখা দেয়। থ্যালাসেমিয়া থেকে মারাত্মক রক্ত শূণ্যতা দেখা দিতে পারে।

থ্যালাসেমিয়া কি

থ্যালাসেমিয়া হলো বংশানুক্রমে পাওয়া রক্তের একটি সমস্যা বা রোগ। রক্তে যদি স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন কম থাকে তাহলে থ্যালসেমিয়া হয়। এর ফলে রক্তশুণ্যতাও দেখা দিতে পারে। থ্যালাসেমিয়া গুরুতর না হলে চিকিৎসার তেমন প্রয়োজন নেই। তবে থ্যালাসেমিয়া মারাত্মক আকার ধারণ করলে রুগীর শরীরে নিয়মিত রক্ত দিতে হয়।

থ্যালাসেমিয়া হয়েছে কি করে বুঝবেন

থ্যালাসেমিয়ার ধরণ এবং এর তীব্রতার উপর নির্ভর করে এর উপসর্গগুলো ভিন্ন হয়ে থাকে।

থ্যালাসেমিয়া হলে সাধারণত: যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা যায়:

কখন ডাক্তার দেখাবেন

উপরোক্ত লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

কি ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে

কি ধরণের চিকিৎসা আছে

রোগের মাত্রা ও ধরণের উপর  থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে।

মৃদু থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে

মাঝারি থেকে মারাত্মক থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে

জীবন-যাপন পদ্ধতি

প্রতিরোধ

থ্যালাসেমিয়া কেন হয় ?

ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন জিনের কারণে থ্যালাসেমিয়া হয়। বাবা অথবা মা, অথবা বাবা- মা উভয়েরই থ্যালাসেমিয়া জীন থাকলে বংশানুক্রমে এটি সন্তানের মধ্যে  ছড়ায়।

থ্যালাসেমিয়া কয় ধরণের হয়ে থাকে?

থ্যালসেমিয়া প্রধানত দুই ধরণের হয়। যথা :

১. আলফা থ্যালাসেমিয়া (Alpha-thalassemia) :

চারটি জিন দিয়ে আলফা থ্যালাসেমিয়া ধারা (Chain) গঠিত হয়। আমরা বাবা-মা প্রত্যেকের কাছ থেকে দুটি করে এই জিন পাই। এই জিনগুলোর মধ্যে এক বা তার অধিক ত্রুটিপূর্ণ হলে Alpha-thalassemia হয়। যত বেশি জিন ত্রুটিপূর্ণ হবে তত বেশি মারাত্মক সমস্যা দেখা দিবে। যেমন:

২. বিটা থ্যালাসেমিয়া (Beta-thalassemia) :

Beta-thalassemia ধারা গঠিত (Chain) হয় দুইটি জিন দিয়ে। বাবা-মা প্রত্যেকের কাছ থেকে একটি করে মোট দুইটি জিন আমরা পেয়ে থাকি। একটি অথবা উভয় জিনই ত্রুটিপূর্ণ হলে Beta-thalassemia দেখা দেয়।  এক্ষেত্রে:

হিমোগ্লোবিন কি?

হিমোগ্লোবিন লাল রংয়ের এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি উপাদান যা লোহিত রক্ত কণিকায় বিদ্যামান থাকে। হিমোগ্লোবিন লোহিত রক্ত কণিকাকে ফুসফুস থেকে শরীরের সব অংশে অক্সিজেন সরবরাহে এবং শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে ফুসফুসে কার্বন-ডাই- অক্সাইড সরবরাহে সাহায্য করে।

কাদের থ্যালাসেমিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে ?

যাদের থ্যালাসেমিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে তারা হলেন :

থ্যালাসেমিয়ার ফলে কি ধরণের জটিলতা দেখা দিতে পারে?

থ্যালাসেমিয়ার ফলে নিচের জটিলতাগুলো দেখা দিতে পারে :

রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কোন বিষয় গুলো জানা যায়?

রক্তের পরীক্ষার মাধ্যেমে যে বিষয়গুলো জানা যায়:

এছাড়া রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে নিচের বিষয়গুলোও জানা যায় :

গর্ভস্থ সন্তানের থ্যালাসেমিয়া আছে কিনা তা জানার জন্য কোন পরীক্ষাগুলো করা হয়?

এক্ষেত্রে যে পরীক্ষা গুলো করা হয় সেগুলো হলো:

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *