যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের অনেকেই সকালের নাস্তা খেতে চান না অথবা অপরিকল্পিতভাবে সকালের নাস্তা বা ব্রেকফাস্ট সেরে ফেলেন। বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে, যদি আপনার ব্লাড সুগার হাই থাকে তাহলেও সকালের নাস্তা পরিহার করা ঠিক নয়।
গবেষণায় দেখা যায়, ব্রেকফাস্ট পরিহার করলে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে এবং পাশাপাশি ইনসুলিনও রেজিস্ট্যান্স হতে পারে। গবেষণায় এটাও দেখা যায় যে, ব্রেকফাস্ট ইটার্সদের লাঞ্চ-ডিনারে ফ্যাট ও হাই ক্যালরি ডায়েট আহার করলেও বেটার রেজিস্ট্যান্স হয়। পাশাপাশি প্রতিদিন একই সময়ে ব্রেকফাস্ট করা উচিত। যাতে সারাদিনের ব্লাড সুগার একই রকমের থাকে। রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে সকালের নাস্তা আহারের নানা পরামর্শ এখানে তুলে ধরা হলো-
সকালের নাস্তায় রাখতে হবে স্বাস্থ্য সম্মত কার্বোহাইড্রেট। যেমন: ওট মিল, সিরিয়াল, ব্রেড ইত্যাদি। বাসাতেই ব্রেকফাস্ট আহারের অভ্যাস করতে হবে। ব্রেকফাস্টে রাখতে হবে অন্তত: এক হাজার কিলো ক্যালরির মতো খাদ্য শক্তি। খাবার তালিকায় রাখতে পারেন শর্করা, ফ্যাট, চিজ, সসেজ মাফিন, ওটমিল, ফ্যাট ফ্রি মিল্ক ইত্যাদি। হোল গ্রেইন সিরিয়াল, আধাকাপ ফ্রেস ফ্রুইট, যেমন: স্ট্রবেরী, ব্লু বেরী ইত্যাদি। খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন সিরিয়াল ও ইয়োগার্ট।
সাধারণ কর্ন ফ্লেক্স-এর চেয়ে ওটমিল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। যারা ওটমিল আহার করেন তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ৩৯ ভাগ কম। ব্রেকফাস্টে রাখতে পারেন লোফ্যাট মিল্প অথবা সুগার ফ্রি ইয়োগার্ট। অরেঞ্জ জুস না খেয়ে ফ্রেশ অরেঞ্জ খাওয়া ভালো। চা-কফি পানের সময় চিনি পরিহার করুন এবং সিনামন যোগ করতে পারেন।