ঠোঁট ফাটা ও কালো দাগ দূর করতে…

শেয়ার করুন

সুচিপত্র

ঠোঁট ফাটা ও ঠোঁটের আঁইশ ওঠা সমস্যায় ভোগে এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। এ জন্য সবচেয়ে ভালো প্রতিকার হলো ঠোঁটে দুই-তিন দিন পরিষ্কার ঘি প্রয়োগ করতে হবে। ব্যবহারের পরই এর পার্থক্য বোঝা যাবে। এ ছাড়া ঠোঁটে মধুও প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে খুব গরম পানীয় চুমুক দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কালো ঠোঁটের জন্য
কালো ঠোঁট পছন্দ করে এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। ঠোঁটের কালো অবস্থা ঢাকার জন্য অনেক নারী গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করেন। কিন্তু বেশিরভাগ সময় লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁট বায়ুর স্পর্শ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্যকর ঠোঁট মানেই পরিষ্কার ঠোঁট।

ঠোঁটের কালো রং দূর করতে নিচের পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা যেতে পারে :

প্রয়োজনীয় উপাদান
তিন টেবিল চামচ নারকেল তেল
তিন টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল

পদ্ধতি:
উপাদান দুটি ভালো করে মেশাতে হবে। মিশ্রণটি ঠোঁটে দিনে বেশ কয়েকবার প্রয়োগ করুন।ঠোঁটের কালো রং দূর করতে অন্য পদ্ধতিও প্রয়োগ করতে পারেন :

প্রয়োজনীয় উপকরণ
২ টেবিল চামচ আমন্ড পেস্ট
১ চা চামচ কাঁচা আলু, কাটা
একটি লেবুর অর্ধেকাংশের রস
১ চা চামচ টাটকা দুধের সর

পদ্ধতি:
উপকরণগুলো ভালো করে মেশান। এবার এটি মাস্ক হিসেবে ঠোঁটে প্রয়োগ করুন। ১০ মিনিট রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই-তিন বার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করুন।

ডার্ক আউটলাইনের জন্য
ঠোঁটের ডার্ক আউটলাইনও অনেকের উদ্বেগের কারণ। কিন্তু অনেকে জানে না কীভাবে এর চিকিৎসা করতে হয়।

সবচেয়ে সহজ প্রাকৃতিক ব্যবস্থা হলো প্রথমত: ঠোঁটের আক্রান্ত এলাকায় হাত দেওয়া যাবে না। কারণ এতে ওই স্থানে ব্যথা হতে পারে। দ্বিতীয়ত, একটি ছোট বাটিতে প্রয়োজন মতো ঠাণ্ডা সম্পূর্ণ ফ্যাট ক্রিম দুধ নিতে হবে। এতে কটন প্যাড ডুবাতে হবে। এবার আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন। তুলো গরম হয়ে আসলে অন্যটি ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট ধরে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। তিন-চার দিন পরই পার্থক্য বোঝা যাবে।

ঠোঁটের পাশ ভেঙে যাওয়া
ঠোঁটের পাশ বিশেষ করে চারপাশ ভেঙে যাওয়া অনেকের কাছে বেদনাদায়ক হতে পারে। এ জন্য দরকার আক্রান্ত স্থানের আর্দ্রতা। এ অবস্থা দূর করতে আক্রান্ত স্থানে টাটকা দুধের সর এবং ঠাণ্ডা পানির চাপ প্রয়োগ করতে হবে। এটি খুব কার্যকর। টাটকা দুধের সর দিয়ে এলাকাটি হালকাভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর বরফ বা ঠাণ্ডা পানির চাপ প্রয়োগ করতে হবে। দিনে দুই-তিন বার এ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।