চোখ মানুষের একটি অমূল্য সম্পদ এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ। চোখের অনেক ছোট এবং সাধারণ অসুখ থেকে বড় জটিলতার সৃষ্টি হয় এমন কি অন্ধত্বেরও সৃষ্টি হতে পারে। যদি প্রাথমিক অবস্থায় চোখের এই সব সাধারণ রোগ বা সমস্যাগুলোর সঠিক চিকিৎসা বা যত্ন নেওয়া যায় তাহলে অন্ধত্বের হার অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

চোখে কোন কিছু পড়া

আমাদের খালি চোখে অহরহ বাহিরের কিছু না কিছু পড়ে থাকে যেমন- বালি ধূলিকণা, কীটপতঙ্গ, বাঁশ, ইট, কাঠের টুকরা ইত্যাদি। এগুলি আমাদের চোখে দারুন ভাবে পীড়া দেয়। যদি তাড়াতাড়ি বের না করা যায় তাহলে কর্ণিয়ায় ঘসা লেগে তা মারাত্মক ক্ষতি করে। এমনকি চোখ অন্ধও হয়ে যেতে পারে।

লক্ষণ

চিকিৎসা

চোখে ঘষা দেওয়া যাবে না। সহজ ভাবে কিছু পড়ে থাকলে তুলা দিয়ে আলতো ভাবে তুলে নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের জীবাণুনাশক মলম ও প্যাড দিয়ে ব্যান্ডেজ দিয়ে একদিন অপেক্ষা করতে হবে। কিছু ফুটে বা লেগে থাকলে চক্ষু হাসপাতালে রেফার করতে হবে।

সদ্যজাত শিশুর চোখের প্রদাহ

সদ্য প্রসুত শিশুর জন্মের ২১ দিনের মধ্যে চোখের (কনজাংটিভার) সংক্রমন ও প্রদাহ হলে তাকে অপথলমিয়া নিওনেটারাম বলে। ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দিয়ে সংক্রমন হতে পারে। এসব সংক্রমন সাধারণত মায়ের প্রসব পথ থেকে আসে।

 লক্ষণ

করণীয়

জটিলতা

কর্ণিয়ায় ঘা, কর্ণিয়া ছিদ্র হয়ে চোখ অন্ধ হতে পারে।

চোখ লাল হওয়া

কনজাংটিভার ভিতরে অবস্থিত ছোট ছোট রক্ত নালী থেকে রক্ত বেরিয়ে আসলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

দুটি কারনে চোখ লাল হয়

১.কনজাংটিভায় রক্তক্ষরণ

২.চোখের ভিতর রক্তক্ষরণ

১. কনজাংটিভায় রক্তক্ষরণ

সমস্যা বা রোগের কারণ

রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ

চিকিৎসা

যেহেতু দৃষ্টির কোন অসুবিধ হয় না তাই চোখের চিকিৎসার তেমন প্রয়োজন হয় না।

২. চোখের ভিতর রক্তক্ষরণ

লক্ষণ

চিকিৎসা

উভয় চোখে প্যাড ব্যান্ডেজ করে বিশেষজ্ঞের নিকট রেফার করতে হবে।

চোখ দিয়ে পানি পড়া

চোখ সব সময় ভিজিয়ে রাখার জন্য চোখের গ্রন্থি থেকে পানি তৈরী হয়। এই পানি নীচের পাতায় নাকের দিকে অবস্থিত একটি নালা দিয়ে নাকের ভিতর গিয়ে পড়ে। কোন কারণে ঐ নালী বন্ধ হয়ে গেলে পানি নাকে না গিয়ে পাতায় গড়িয়ে পড়তে থাকে। দীর্ঘদিন এই নালি বন্ধ থাকলে সেখানে জীবাণু দ্বারা সংক্রমণ হয়ে প্রদাহ হয় এবং চোখের কোনে পুজ হয়। অনেক সময় চোখ দিয়ে পুজ পড়ে।

করণীয়

পানি পড়া দেখলেই চক্ষু চিকিৎসকের নিকট রেফার করতে হবে।

ট্যারা চোখ

যখন কোন বস্তুর দিকে তাকাতে গিয়ে এক চোখ সোজা থাকে এবং অন্য চোখ বেকে যায় তখন সেই বাকা চোখকে ট্যারা চোখ বলে। যেই চোখ ট্যারা থাকে সেই চোখে রোগী কিছুই দেখে না। এক চোখ দিয়ে কোন রকমে কাজ চালিয়ে নেয়। ট্যারা চোখ বালক বালিকাকে মানুষ লক্ষ্ণী ট্যারা বলে থাকে। তাদের ধারণা ট্যারা চোখ মঙ্গলের লক্ষণ। এটি মস্ত বড় ভুল ধারণা কেননা সময় মত চিকিৎসা না করলে চোখের দৃষ্টিশক্তি একেবারেই নষ্ট হয়ে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

 লক্ষণ

১.প্রয়োজনে বস্তুর দিকে ঠিকমত চোখ ঘুরাতে পারে না বরং মাথা ও মুখ বস্তুর দিকে  ঘুরিয়ে নেয়

২. একটি বস্তুকে দুইটি দেখে

৩. কান ভোঁ- ভোঁ করে অনেক সময় রোগী বমি করে

চিকিৎসা

জন্ম থেকে যদি ট্যারা হয় তবে ৬ মাস থেকে ১ বৎসর বয়সের মধ্যে অপারেশনে ভাল হয়। দুই থেকে ৮ বৎসর বয়সের শিশুদের চশমা দিয়ে, চোখের ব্যয়াম দিয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। চশমা, চোখের ব্যায়াম দিয়ে ভাল ফল না হলে অপারেশন করে ভাল করা যায়।

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি

দীর্ঘমেয়াদী অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিক রোগের কারণে উক্ত রোগীদের রেটিনায় প্রদাহের ফলে যে জটিলতার  সৃষ্টি হয় তাকে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি বলে।

রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ

দৃষ্টি ক্রমেই ঝাপসা হবে এবং সময় মত ব্যবস্থা না নিলে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে যাবে।

চিকিৎসা

প্রতিরোধই এই রোগের প্রধান চিকিৎসা।

প্রতিরোধের উপায়

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *