খুশকি নিয়ে ভুল ধারণা

শেয়ার করুন

সুচিপত্র

শীতের শুরু থেকেই মাথার ত্বকে খুশকির প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকে। কারও কারও জন্য এটা বেশ বিব্রত ও বিরক্তিকর সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। অনেকের বছরজুড়েই খুশকি হয়, তবে এই সময়ে বেশি বাড়ে। খুশকি নিয়ে আমাদের আছে বেশ কিছু ভুল ধারণা।

: অনেকের ধারণা, খুশকি হলো মরা ত্বক বা ত্বকের ময়লা। আসলে তা নয়। খুশকির কারণ হলো একধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ। একে বলে সেবোরিক ডারমাটাইটিস। এতে মাথার ত্বকে শুষ্ক সাদাটে আবরণ তৈরি হয় ও পরে তা গুঁড়ো হয়ে চুলে ছড়িয়ে থাকে। খুশকি হলে অনেক চুলকায়ও।

: পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। অনেকের ধারণা, এগুলো হলো ত্বকের ময়লা, তাই প্রতিদিন ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে চেষ্টা করে অনেকে। মনে রাখতে হবে, এটি একধরনের সংক্রমণ।

: খুশকির সংক্রমণ মাথার ত্বক ছাড়াও ভ্রু, নাকের পাশে, বুকের পশমে হতে পারে। মাথায় খুশকির সংক্রমণের কারণে কারও গলা বা গালের পাশে গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে।

: চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ হলো খুশকি। তাই এটি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। কেবল দেখতে খারাপ লাগে বলেই নয়, সংক্রমণ দীর্ঘমেয়াদি হলে জটিলতা বাড়বে।

: যে কারও খুশকি হতে পারে। তবে যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের বেশি হয়। খুশকি সংক্রামক।

কী করবেন?

খুশকি দূর করতে অ্যান্টি–ড্যানড্রাফ বা খুশকি রোধক শ্যাম্পু দিয়ে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। এতে ছত্রাকরোধী উপাদান মেশানো থাকে। মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে ৫ থেকে ১০ মিনিট রেখে দিয়ে পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই শ্যাম্পু চুল ও মাথার ত্বককে শুষ্ক ও খসখসে করে ফেলতে পারে। আধুনিক কিছু শ্যাম্পুতে তাই হেয়ার সফটেনার মেশানো থাকে। কখনো শুধু শ্যাম্পুতে কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ লোশন বা মুখে খাওয়ার ওষুধ গ্রহণ করতে হতে পারে।