১. স্লিম থাকুন
অতিরিক্ত ওজন, প্রস্টেট, অগ্নাশয়, জরায়ু, কোলন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এমনকি স্থূল নারীদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও ব্যাপক। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। হাঁটলেও ভাল ফল পাওয়া যায়। যেভাবেই হোক স্লিম থাকার চেষ্টা করুন।
২. শাক-সবজি খান
সব সময় স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়ার চেষ্টা করুন। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী এজেন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারার জন্য ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। এজন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (ভিটামিন এ, সি, ই এবং সেলেনিয়াম) এবং ফাইটোকেমিক্যালস সমৃদ্ধ রঙিন খাবার খান। এগুলো ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করে এবং রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এ ধরণের খাবার হচ্ছে- টমেটো, ব্রোকলি, গাঁড় সবুজ শাক-সবজি, আঙ্গুর, গাজর, রসুন, পেঁয়াজ ও সয়া পণ্য ইত্যাদি।
৩. লাল মাংসকে না বলুন
লাল মাংস ক্যান্সার হতে সহায়তা করে। তবে এর আসল কারণ ঠিক কী তা এখনো খুঁজে বের করা যায়নি। দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় এটুকু জানা গেছে যে, রেড-মিটের সাথে ক্যান্সারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। অন্যদিকে মাছ খেলে হয় ঠিক তার উল্টোটা, অর্থাৎ মাছ খেলে ক্যান্সার হওয়া থেকে দূরে থাকা যায়।
৪. অ্যালকোহলকে না করুন
অ্যালকোহল বা মাদককে ক্যান্সার উত্তেজক হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। বিশেষ করে অ্যালকোহল পানে মুখের ভেতর, গলা এবং পাকস্থলীর নালীতে টিউমার ছড়ানোকে প্রভাবিত করে। তবে সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে ধূমপান এবং মদ্যপান যদি একসাথে করা হয়। এই দুটো একসঙ্গে হয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় একশ ভাগ।
৫. প্রখর রোদ এড়িয়ে চলুন
রোদে বেশি ঘোরাঘুরি করা যাবে না। পারলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। কারণ, সূর্যের অতি-বেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
৬. সামান্য ব্যাথা অনুভব করলে সতর্ক হন
আপনার যদি প্রায়শই গ্যাসের কারণে পেট ফুলে থাকে, পেলভিক পেইন হয় তাহলে অগ্রাহ্য করবেন না। দ্রুত ডাক্তার দেখান।
৭. ত্বকের দাগ অবহেলা করবেন না
ত্বকে আঁচিল বা অন্য কোনো দাগের উপদ্রব ঘটলে তা পরীক্ষা করান। কারণ এ থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে।
৮. বেশি রোদ, বেশি ক্ষতি
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি মানুষের ত্বকের অনেক পরিবর্তন করে। অবশ্য সানস্ক্রিন ক্রিম সূর্যের বিকিরণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে ঠিকই, তবে তারও সময়সীমা রয়েছে। ত্বক যখন পুড়ে যায়, ধরে নিতে হবে যে ত্বকে অনেক বেশি সূর্যের কিরণ লেগে গেছে।
৯. আধুনিক ওষুধ থেকে ক্যান্সার
এক্স-রে রশ্মি জেনোটাইপের ক্ষতির কারণ, তবে সাধারণ এক্স-রেতে তেমন ক্ষতি হয় না। সে রকম প্রয়োজন না হলে কম্পিউটার-টোমোগ্রাফি না করাই ভালো। আবার অন্যদিকে এমআরআই কিন্তু মোটেই শরীরে জন্য ক্ষতিকারক নয়। ভালো খবর যে, প্লেন ভ্রমণ থেকে ক্যান্সার হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না।
১০. ইনফেকশনের মাধ্যমে ক্যান্সার
হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস লিভার কোষের ক্ষতি করতে পারে। তবে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখতে টিকা বা অ্যান্টিবায়োটিকও নেয়া যেতে পারে।