উচ্চরক্তচাপের রোগী এখন ঘরে ঘরে। ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ ছাড়াও ঘরেই যদি নিয়মিত কিছু অভ্যাস করা যায়, তাহলে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে উচ্চরক্তচাপকে।
> প্রতিদিনের খাবার থেকে লবণ বাদ দিন। লবণ উচ্চরক্তচাপের জন্য ভীষণ বিপজ্জনক। বেশির ভাগ ফাস্টফুডে বা যে সব খাবারে প্রিজারভেটিভ দেওয়া থাকে তাতে সোডিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। তাই সবার প্রথমে ফাস্টফুডকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন।
> হালকা ব্যায়াম হতে পারে আপনার উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের আরেকটি চমৎকার কৌশল। সঠিক খাদ্যাভাস আর নিয়মিত ব্যায়াম একসঙ্গে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে, যা উচ্চরক্তচাপের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে।
> উচ্চরক্তচাপ আপনার অজান্তেই হৃৎপিণ্ডর রক্তচলাচলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ফলে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও অনেকগুণ বেড়ে যায়। তাই ডাক্তারের পাশাপাশি আপনি ঘরোয়া চিকিৎসাপদ্ধতিও চেষ্টা করে দেখুন। প্রতিদিনের কিছু বাজে অভ্যাস যেমন ধূমপান ছেড়ে দিন। ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ব্যায়াম এবং খাদ্যভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনুন।
> অন্তত আধাঘণ্টা ব্যায়াম উচ্চরক্তচাপ কমিয়ে দেয় ৬ থেকে ৮ ইউনিট। মেডিটেশন রক্তচাপ কমায়। উন্মুক্ত বাতাসে অন্তত পাঁচ মিনিট ধীরে ধীরে এবং দীর্ঘ দম নিলে রক্তচাপ কমে।
> উচ্চরক্তচাপ কমাতে মদ্যপান পরিহার করুন। চা খাওয়া যেতে পারে দিনে ৩ কাপ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ৩ কাপ চা ৬ সপ্তাহের মাথায় ৭ পয়েন্ট রক্তচাপ কমিয়েছে।