অনেক সময় শোনা যায়, অন্তঃসত্ত্বা নারী গর্ভকালে বা প্রসবের সময় বা পরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁর হৃদ্রোগের কথা হয়তো কখনো জানা ছিল না, তাই এমন ঘটনা ঘটে। গর্ভকালে হৃদ্যন্ত্রকে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। ফলে যাঁর আগে সামান্য সমস্যা ছিল, তা প্রকট আকারে দেখা দেয়। কখনো হৃদ্রোগ প্রথমবারের মতো গর্ভাবস্থায় ধরা পড়ে।
জন্মগত হৃদ্রোগ বা শৈশবের বাতজ্বর থেকে সৃষ্ট হার্টের ভালভের সমস্যা প্রথমবারের মতো কেবল অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রকাশ পেতে পারে। এই সমস্যা মায়ের জীবন সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে। গর্ভকালীন শেষ তিন মাস ও প্রসবের পর প্রথম পাঁচ মাস হৃৎপিণ্ড বড় হওয়ার ( কার্ডিওমায়োপ্যাথি) আশঙ্কাও মায়ের জন্য জরুরি অবস্থা তৈরি করে। হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যাওয়াও গর্ভকালীন একটি সমস্যা। রক্তচাপ অনেক বেড়ে যেতে পারে কারও কারও। গর্ভকালীন ও প্রসবকালে হার্ট অ্যাটাক হওয়াও একেবারে বিরল নয়। রক্ত জমাট বেঁধে ফুসফুসের রক্তনালিতে বা পায়ের রক্তনালিতে আটকে গিয়ে জীবন বিপন্ন হতে পারে। কেননা, গর্ভকালে কারও কারও রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা থাকে বেশি। তাই সচেতন হওয়া জরুরি।
■ গর্ভকালে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের কারণে শুতে না পারা, সামান্য পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট হওয়া খারাপ লক্ষণ।
■ বুক ধড়ফড়, মাথা হালকা বা শূন্য বোধ হওয়া, হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়া অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের লক্ষণ।
■ হঠাৎ প্রচণ্ড বুকব্যথা, বমি, ঘাম হলে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া উচিত।
■ পা, মুখ, পেট বা পুরো শরীরে পানি জমা খারাপ। কখনো কেবল একটি পা ফুলে যাওয়া ও লাল হয়ে ব্যথা করা ভেইন থ্রম্বসিসের লক্ষণ।
■ উচ্চ রক্তচাপ গর্ভকালে যেকোনো সময়েই হতে পারে। তাই প্রতিবার চিকিৎসকের কাছে গেলে রক্তচাপ মাপা উচিত।
■ রক্তশূন্যতা তীব্র হলে তা থেকে হার্ট ফেইলিউর হতে পারে। তাই রক্তশূন্যতা হলে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।