যত দিন যাচ্ছে, তত বাড়ছে তাপমাত্রা। বৈশাখ মাস পড়তে না পড়তেই গরমে রীতিমতো হাঁসফাঁস অবস্থা! আর গরম যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও। তাই এই গরমে ঘরের বাইরে পা রাখার আগে হিট স্ট্রোকের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক হিট স্ট্রোকের লক্ষণ আর সতর্ক হয়ে যান আগেভাগেই।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ
১) ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া হিট স্ট্রোকের একটি অন্যতম লক্ষণ।
২) হিট স্ট্রোকের আগে ত্বক শুষ্ক আর লালচে হয়ে ওঠে।
৩) হিট স্ট্রোকের আগে রক্তচাপ অস্বাভাবিক ভাবে কমে যায়।
৪) এ সময় শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
৫) হিট স্ট্রোকের সময় নাড়ির স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ ও দ্রুত হয়ে যায়।
৬) হিট স্ট্রোকের আগে মাথা ঝিমঝিম করা, শরীরে খিঁচুনি হতে পারে।
৭) হিট স্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
৮) শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোকের সময় শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) বা তার চেয়ে বেশি হতে পারে।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ কী করণীয়
১) হালকা ঢিলেঢালা পোশাক পড়ুন। হালকা রঙের পোশাক পড়ুন যাতে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। খুব আঁটোসাটো পোশাক না পরাই ভাল।
২) হিট স্ট্রোক হলে আক্রান্তকে যত দ্রুত সম্ভব ঠাণ্ডা পরিবেশে সরিয়ে আনতে হবে। সম্ভব হলে হিট স্ট্রোকে আক্রান্তকে তাপানুকূল (এয়ারকন্ডিশন্ড) ঘরে রাখতে হবে।
৩) যেকোনো উপায়ে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করতে হবে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর জলে ভেজানো কাপড় দিয়ে মুছিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে ভেজা কাপড় দিয়ে কিছু ক্ষণ জড়িয়ে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে ঘরের পাখা চালিয়ে রাখতে হবে।
৪) যাদের দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে খোলা আকাশের নীচে কাটাতে হয় বা রোদে ঘোরাঘুরি করতে হয়, তাদের একটানা বেশিক্ষণ পরিশ্রমের কাজ না করাই ভালো। ছোট ছোট বিরতি নিয়ে কাজ করা উচিত।
৫) প্রথমিক পর্যায়ে হিট স্ট্রোকের মোকাবিলা করার পর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।