সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে তাড়াহুড়োর কারণে অনেক শিশু ভালোভাবে নাশতা খেতে পারে না। তাদের জন্য স্কুলের টিফিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলে শিশুদের কী টিফিন দেওয়া যায় তা নিয়ে মায়েরা খুবই উদ্বিগ্ন থাকেন। মায়েদের অনেকে হিমায়িত খাবার ভেজে বা দোকান থেকে ফাস্ট ফুড কিনে শিশুর টিফিন বক্সে দিয়ে থাকেন। স্কুলের টিফিনে প্রতিদিন এ ধরনের খাবার খাওয়া অস্বাস্থ্যকর। স্কুলে টিফিন পরিকল্পনা করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল করা দরকার।
কী থাকবে
* খাবারটি যেন পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়। আমিষ, শর্করা ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খনিজের সমাহার থাকলে ভালো।
* প্রতিদিন একই ধরনের খাবার না দিয়ে বৈচিত্র্য আনা দরকার। নয়তো শিশুর আগ্রহ থাকবে না।
* পরিচ্ছন্নতার দিকে জোর দিতে। বাড়িতে তৈরি খাবার দেওয়া ভালো। কেনা খাবার ও দোকানের ফাস্ট ফুড বারবার একই তেলে ভাজা হয়। এসব খাবার শিশুর মুটিয়ে যাওয়ার জন্যই শুধু দায়ী তা নয়, এ ধরনের খাবার ক্যানসারেরও ঝুঁকি বাড়ায়।
* প্লাস্টিকের কনটেইনার ও ফ্লাস্কের পরিবর্তে স্টিল বা সিলিকনের টিফিন বক্স ও বোতল ব্যবহার করা প্রয়েজন। স্কুলে টিফিন খাবার আগে শিশু যাতে ভালো করে হাত ধুয়ে নেয়, সে বিষয়ে তাকে বলে দেওয়া ভালো। এটি যাতে শিশুর অভ্যাসে পরিণত হয়। প্রয়োজনে টিফিন বক্সের সঙ্গে চামচ, টিস্যু এবং হাত ধোয়ার উপকরণ দিয়ে দিতে হবে।
* টিফিনের মান দৈনিক খাবারের এক–তৃতীয়াংশ হওয়া উচিত। শিশু যাতে যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। টিফিনের জন্য দোকান থেকে কেনা জুস বা কোমল পানীয় দেবেন না।
স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর টিফিনের কিছু উদাহরণ
কোনো দিন শিশুকে স্যান্ডউইচ (সবজি/মুরগি/ডিম সঙ্গে শসা, টমেটো, পনির, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি) দেওয়া যেতে পারে। আবার কোনো দিন সবজি দিয়ে বানানো খিচুড়ি বা সবজি ডিম দেওয়া নুডলস/পাস্তা থাকবে টিফিনে। এ ছাড়া বাদামের বরফি, সঙ্গে একটি দেশি ফল। টুনা কাবাব বা ফিশ কাবাব, সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, টমেটো, গাজরও থাকতে পারে। কখনো ডিম–আলুর চপের সঙ্গে একটি ফল দেওয়া যেতে পারে। একদিন থাকতে পারে লুচির সঙ্গে ছোলার ডালের হালুয়া, শুষ্ক ফল যেমন-কিশমিশ বা খেজুর।