একজনের যে খাবারে অ্যালার্জি হয়ে, অন্যজনের সেই খাবারে না ও হতে পারে। জেনে নিন যে দশ খাবারে বিশ্বের সবচেয়ে বেশী মানুষ অ্যালার্জিতে ভুগে:
০১. দুধ: তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আড়াই শতাংশ শিশুর গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকে। তবে দুধে অ্যালার্জি থাকা আর ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স, কখনই এক নয়।
০২. গম: গমের আটা, পাঁউরুটি খেলে অ্যালার্জির সম্ভাবনা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। শিশুদের যদি গমে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে বার্লি বা অন্যান্য দানাশস্যের ক্ষেত্রেও সেই অ্যালার্জি দেখা যেতে পারে।
০৩. সয়া: সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রেই সয়া থেকে অ্যালার্জি দেখা যায়। সয় বিনস, সয়া মিল্কে অ্যালার্জি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ১০ বছর বয়সের পর থেকে কমে আসে।
০৪. ডিম: অধিকাংশ শিশুই দুধের মতোই ডিমের অ্যালার্জিতে ভোগে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন থেকে এই অ্যালার্জি হয়। তবে অ্যালার্জি থাকলে ডিম পুরোপুরি্ এড়িয়ে চলাই ভাল।
০৫. ফল ও সবজি: বেশ কিছু ফল ও সবজি থেকে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। বেগুন, গাজর, টোম্যাটো, পিচ, কলা থেকে অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন।
০৬. ট্রি নাটস: কাজু, পেস্তা, আমন্ড, আখরোট, ব্রাজিল নাটে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। তবে কোনও এক ধরনের বাদামে অ্যালার্জি থাকা মানেই অন্য বাদামেও অ্যালার্জি হবে এমনটা নাও হতে পারে।
০৭. শেল ফিশ: এই অ্যালার্জি খুবই কমন। চিংড়ি, কাঁকড়া, ওয়েস্টার, শামুক জাতীয় খাবার যার শক্ত খোল রয়েছে তার থেকেই অ্যালার্জি হয় বিশ্বের প্রায় ৬০% মানুষের।
০৮. চিনা বাদাম: শিশুদের মধ্যে প্রায়ই চিনা বাদামে অ্যালার্জি দেখা যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল ক্যাম্পাসগুলোতে ১৯৯৭-২০০৮ সাল পর্যন্ত চিনা বাদাম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
০৯. মাছ: অনেকের কোনও এক বিশেষ প্রকার মাছে অ্যালার্জি থাকে, আবার অনেকের স্যালমন, টুনা, ম্যাকরলে জাতীয় সামুদ্রিক মাছ খেলে অ্যালার্জি হয়।
১০. ফালফাইট: খাবারের রং নষ্ট হয়ে যাওয়া, বা বাদামি রং ধরাতে অনেক খাবারে সালফাইট ব্যবহার করা হয়। এই সালফাইট থেকে অনেকের অ্যালার্জি হয়।