দেহে ঝটপট শক্তি সরবরাহে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলার রয়েছে বিপুল ব্যবহার। স্ট্রোক ও হৃদরোগ প্রতিরোধে প্রধান খাদ্য উপাদান হতে পারে পটাশিয়াম। কলা ছাড়াও এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পটাশিয়ামের চাহিদা মেটাতে সক্ষম এবং সহজেই কলার বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
১. সাদা ও মিষ্টি আলু
একটি মিষ্টি আলুতে ৪৩৮ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকতে পারে। অন্যদিকে, সাদা আলুর ক্ষেত্রে এ পরিমাণ হতে পারে দ্বিগুণ, প্রতিটি আলুতে ৯৫০ মিলিগ্রাম। দুই ধরনের আলুতেই উচ্চমাত্রায় ভিটামিন-এ বিদ্যমান।
২. বীট
মাত্র ১ কাপ বীটে পাওয়া যেতে পারে ৬৫৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। বাড়তি হিসেবে পাচ্ছেন ফলেট, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আঁশ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-সি, আয়রন এবং ভিটামিন বি-৬।
৩. টমেটো সস
টমেটো সস যে পটাশিয়ামের ভালো উৎস হতে পারে তা শুনে হয়তো অনেকেই অবাক হবেন। তবে পিজা, পাস্তা ও বার্গারসহ ফাস্টফুডে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত এ সসের এক কাপে থাকতে পারে ৯০৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম।
৪. মটরশুটি
আশ্চর্যজনক ভাবে, মটর শুঁটি থেকে আপনি পেতে পারেন সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম। এক কাপ মটর শুঁটিতে থাকতে পারে ১ হাজার ১৯০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম, যা প্রতিদিনকার প্রয়োজনের চার ভাগের এক ভাগ। এছাড়া উপরি পাওনা হিসেবে প্রোটিন, আঁশ ও ভিটামিন তো রয়েছেই।
৫. তরমুজ
মাত্র দু’ফালি তরমুজে থাকতে পারে ৬৪০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম। পাশাপাশি তরমুজের প্রধান খাদ্য উপাদান হচ্ছে লাইকোপেন, যেটি এক ধরনের উদ্ভিদ পিগমেন্ট। ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে লাইকোপেনের ভূমিকা বহুলভাবে স্বীকৃত।
৬. দই
ক্যালসিয়ামের একটি অন্যতম প্রধান উৎস হলো দই, পাশাপাশি প্রতি কাপ দই এ ৩৮০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। সঙ্গে এক টেবিল চামচ হ্যাজেলনাট আইসক্রিম মিশিয়ে নিলেই হলো। পেয়ে যাবেন বাড়তি ২১১ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, যা সমপরিমাণ কলায় উপস্থিত পটাশিয়ামের থেকেও বেশি।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পটাশিয়ামের উৎস হিসেবে এখন থেকে কলার পাশাপাশি এসব খাবারও বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।